বন্দর ব্যবহার, পানিবণ্টন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উপকূলীয় নজরদারি সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরালো করতে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শনিবার দিল্লির হায়দারাবাদ হাউজে এসব চুক্তি ও সমঝোতা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বিএসএস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই ৭টির মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক, একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর, একটি চুক্তি ও অপরটি একটি কর্মসূচির নবায়ন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে এগারোটায় দিল্লির হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। এই বৈঠকের পর পারস্পারিক সহায়তা সংক্রান্ত সাতটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। পরে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সম্পন্ন হওয়া নতুন তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তারা।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় নজরদারি ব্যবস্থা, ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮১ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরে সরবরাহ, হায়দারাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক ও তরুণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির নবায়ন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এবং ভারতে পণ্য আনা নেওয়ায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) প্রণয়নে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
Leave a Reply