একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর উপলক্ষে কালো পতাকা বিক্ষোভ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) পুরানা পল্টন মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় জোটের বিক্ষোভ মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশের বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে শাহবাগে গিয়ে আবারও বাধা পেয়ে সেখানে দ্বিতীয়বার সমাবেশ করেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, যেই সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত, সেই সরকার জনগণের উন্নয়ন করতে পারে না। এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা মধ্যবর্তী সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার নিজের সরকার পছন্দ করার সুযোগ দিতে হবে।’
মিছিলে পুলিশের বাধার নিন্দা জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা বলে যেভাবে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে এবং তাদের দলীয় নেতা গুণ্ডাকর্মীদের কাজে লাগিয়ে, যেভাবে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র দখল করেছিল এবং যে পরিমাণ ভোট আছে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ব্যালটে সিল মেরে তারাই বাক্স ভর্তি করেছিল। তার মধ্য দিয়ে দেশের ১৮ কোটি নাগরিককে অপমান করা হয়েছে। এই স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্বালে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি, বাংলাদেশের জনগণকে এইভাবে অপমান আর কেউ কোনোদিন করতে পারেনি।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘‘ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক ‘নির্বাচন কমিশন’কে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। যদি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে, তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানবো, তিনি যেন সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ভোট ডাকাতের অংশীদার ‘নির্বাচন কমিশন’কে বরখাস্ত করেন।’’
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি আখ্যা দিয়ে ‘কালো দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে তারা এই কালো পতাকা মিছিল করে।
Leave a Reply