শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

বিচারের নামে তামাশা করেছে ভারতের আদালত: আল্লামা কাসেমী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৬৭
বিচারের নামে তামাশা

২৮ বছর আগে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতীসহ ৩২ জন অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে খালাস দেওয়ার ভারতীয় কোর্টের রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

তিনি বলেন, ভারতীয় আদালত উগ্র হিন্দুত্ববাদের পক্ষ নিয়ে সত্য, ন্যায়-ইনাসফ ও বাস্তবতার সঙ্গে শুধু তামাশাই করেনি, বরং মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদি আগ্রাসনকে বৈধতা দিতে শুরু করেছে। একই ভূমিকা আমরা ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের রায়েও প্রত্যক্ষ করেছি।

বৃহস্পতিবার আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ স্বাক্ষরিত সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হিন্দু উগ্রবাদীরা ভারতজুড়ে বছরব্যাপী নানা সভা-সমাবেশ করে এবং সুনির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ, তারিখ দিয়ে ১৯৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে উল্লাস নৃত্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো যে বর্বরতা চালিয়েছিল, তার প্রমাণ এখনো মুছে যায়নি । সেদিন এই মামলার আসামি উমা ভারতী বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য নিজেদের সাঙ্গপাঙ্গদের উদীপ্ত করতে কীভাবে একের পর এক স্লোগান দিয়েছিল এবং বিজেপি শীর্ষ নেতা আদভানি-জোশীরা মঞ্চে বসে কীভাবে মিষ্টি বিলাচ্ছিলেন- তার প্রমাণ এখনো মুছে যায়নি। কিন্তু ভারতের উচ্চ আদালত গতকাল দীর্ঘ ২৮ বছর পর সে ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস দিয়ে বলেছে, ওই ধ্বংসাত্মক ঘটনা ছিল ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া’ স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের ফল’।

সেই দিনের ভূমিকায় আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ দেশটির বিচারকরা খুঁজে পায়নি। ভারতীয় আদালতের এমন নগ্ন পক্ষপাতদুষ্ট রায়ে শান্তিকামি বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই রায়ে ভারতের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়াই কেবল প্রমাণ করে না; বরং দেশটির বিচার বিভাগের ওপরও যে হিন্দুত্ববাদিরা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে সেটাও স্পষ্ট হয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন, উচ্ছেদাভিযান ও মানবাধিকার হরণকে প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা দিতে এই রায়কে উগ্র হিন্দুত্ববাদিরা আগামী দিনে ব্যবহার করতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সা¤প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতাকে আরো ছড়িয়ে দিতে প্ররোচিত করতে পারে।

আল্লামা কাসেমী বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। তাছাড়া যে কোনো নিপীড়িত জনতার পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নিতেও আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে ভ্রাতৃত্ববোধের জায়গা থেকেও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের ঘটনায় আমাদের চুপচাপ দর্শকের ভ‚মিকায় থাকার সুযোগ নেই। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য, ভারতের ক্রমবর্ধমান মুসলিম নিপীড়ন ও বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলার পক্ষপাতদুষ্ট রায়ের প্রতিবাদ জানানো এবং এসব বন্ধে ক‚টনৈতিকভাবে ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT