বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান অভিভাবকরা

শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯
  • ১৮১

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সব অনুষদ ও বিভাগের স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক মিজানুর রহমান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ ছিল। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। এর আগে ৫ অক্টোবর পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তারিখ পরিবর্তন করে। বুয়েটের এক হাজার ৬০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। অর্থাৎ আসন প্রতি লড়ছেন ১১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এবার ভর্তির জন্য ১৬ হাজার ২৮৮ জন আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১২ হাজার ১৬১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে বুয়েটে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগের কথা ভেবে দুই দিনের জন্য আন্দোলন শিথিল করেছেন তারা।

গিয়াস উদ্দিন নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছি। বুয়েটে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চাই। আমি চাই না রাজনীতির কারণে বলি হোক আমার সন্তান।’পাবনা থেকে আসা নাসরিন সুলতানা পলি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা বাড়ির বাইরে পড়তে যায়। আমরা তাদের কোনও খোঁজ রাখি না।’

ময়মনসিংহ থেকে আসা রাশেদুল হক বলেন, ‘আবরারের মা আমার স্কুলবন্ধু। আবরারের মা জগন্নাথ কলেজ থেকে পড়ালেখা করার পরও ছেলেদের পড়ানোর জন্য নিজেও চাকরি করেননি। আবরারের ঘটনার পর থেকে আমি নিজেও চাইনি আমার ছেলে এখানে পরীক্ষা দিক। পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে গেছে, সেখানে মাছ ছাড়লে বাঁচবে? শুধু বুয়েট না, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত না।’ সুলতানা তাহমিনা লাইলা বলেন, ‘তার বড় মেয়ে মেডিক্যালে পড়ে। আরেক মেয়ে আজিমপুরে থাকে। মেয়েকে নিয়ে আসার সময় আবরারের হলটা দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেছে। এখানে কিসের রাজনীতি? মায়ের বুক খালি করার রাজনীতি, এই রাজনীতি চাই না। আমার মেয়ে হলে কী করে, আমি কীভাবে বলবো।’

ধানমন্ডি থেকে ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছেন খাদিজা আক্তার মহুয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা বলেন পড়ালেখার মধ্যে রাজনীতি দরকার আছে কিনা? স্কুল থেকে শুরু হয় ছেলেমেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে পড়তে দিয়ে দুশ্চিন্তা। তাদের পড়তে পাঠিয়েছি, লেখাপড়া ছাড়া তাদের আর কোনও কাজ নাই।’

রংপুর থেকে আসা লেবু বলেন, ‘অভিভাবক হিসেবে আমি চিন্তিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকবে কী থাকবে না, ডিসিশন নেবে কর্তৃপক্ষ।’

রাজনীতিতে ছাত্রদের ভয়েস থাকার বিষয়ে একজন অভিভাবক হিসেবে আপনি কী মনে করেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থাকা না থাকা ডিপেন্ড করে সরকারের ওপর। দেশে কারও কোনও মতামতের দাম নাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT