শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

বেগম জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০
  • ১২৬
দুই বছর পর বাড়িতে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সোমবার (৩১ আগস্ট) আইনমন্ত্রীর মতামত জানা যেতে পারে।

সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বেগম জিয়ার পরিবার। এরপর আবেদনটির বিষয়ে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার (৩১ আগস্ট) আবেদনটি তিনি দেখবেন, এরপরই মতামত দেবেন। ফলে আইনমন্ত্রীর সোমবারের মতামতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিএনপি ও তার আইনজীবীরা।

যদিও বিএনপির একটি সূত্র বলছে, সরকারের সবুজ সংকেতেই বেগম জিয়ার পরিবার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার এই আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।

সূত্রটি আরো জানায়, এবারও বেগম জিয়ার পরিবারের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। তবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সাজার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে যিনি সরকার এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করছেন তার সঙ্গে দুই দফা বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

মূলত সেই বৈঠকের পরই সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে এ আবেদনটি জমা দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার।

তবে বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদন করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেই রিপোর্ট ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে যে মুক্তি দেয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র সেই মুক্তির আদেশ বর্ধিত করার জন্যই এ আবেদনটি করেছেন তারা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় বিএনপি নেত্রীকে। এছাড়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম জিয়ার সাত বছরের জেল হয়েছে।

এ দুটি দুর্নীতি মামলা ছাড়াও বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি দুর্নীতি মামলা রয়েছে। এছাড়া নাশকতা, ভাঙচুর সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে।

দণ্ডিত হওয়ার পর নাজিম উদ্দীন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয় বেগম জিয়াকে। পরে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তরের কথা থাকলেও জামিনে মুক্তির আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

করোনা সংক্রমণের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গেল ২৫ মার্চ সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান বেগম জিয়া। সেই মেয়াদ শেষের আগেই সাজা স্থগিত ও জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করল তার পরিবার।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT