সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরে শ্রমিক সরবরাহে অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোমরা কাষ্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব এইচ.এম আরাফাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, অন্যান্য স্থলবন্দরের ন্যায় ভোমরা স্থল বন্দরেও সরকার পণ্য খালাসের জন্য একজন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে শ্রমিক সরবরাহ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে থাকে। এ বন্দরের উক্ত নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিক সরবরাহের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ পার মেট্রিকটনে ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা হারে ব্যবসায়ীদৈর কাছ থেকে বিল নিয়ে থাকে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কোন শ্রমিক সরবরাহ না করে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রতিমাসে কোটি কোটি হাতিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বাহিরের থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে প্রতি ট্রাকে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২’শ টাকা দিয়ে পণ্য খালাস করতে বাধ্য হচ্ছে। এরফলে আমদানি কারকদের দুই বার শ্রমিকদের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। যা বাংলাদেশের অন্য কোন বন্দরে পরিলক্ষিত হয়না। যার কারনে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, এ বন্দরে সম্পূর্ণ আলাদা আদেশ জারি করে নাইট চার্জ আদায় করা হচ্ছে যা বিধি সম্মত নয়। ট্যারিফ সিডিউলে নাইট চার্জ দেয়ার বিধান না থাকলেও নাইট চার্জের নামে টাকা আদায় করে তা ৫০/৫৫ ভাগে ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে কিছু দূর্নিতী গ্রস্ত কর্মকর্তা।
এছাড়া এ বন্দরে আইন করে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল চার্জের উপর প্রতি বছর ৫% হারে ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হয়। যা একই দেশে দ্বৈত আইন। তারা এ সময় ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালকের প্রত্যাহার ও বিচার দাবী করে শ্রমিক ঠিকাদার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সুকৌশল দূর্নিতী সম্পর্কে উক্ত দপ্তরের মন্ত্রী, সচিবসহ সকলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু, নাসিম ফারুক খান মিঠু, সহ-সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাবেক সাধারন সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply