সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যবসায়ীর দীর্ঘ ২৪ বছরের দখলে থাকা ১৪ শতক জমির প্রাচীর ভেঙ্গে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জমি মালিকের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার ভাই আমির হামজাসহ ৪ জনকে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।
জমির মালিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শ্রীরামপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ফ্যালকন গ্রæপের চেয়ারম্যান আফছার আলী জানান, ভোমরা স্থল বন্দর সংলগ্ন সাহাবুদ্দিন টেডিং এর দক্ষিণ পাশে জনৈক গোলাম মোস্তফা নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের ধারে ১৪ শতক জমি তিনিসহ তার বোন ফাতেমা খাতুনের নামে ক্রয় করেন। সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে তিনি ও তার বোন দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ওই জমি তাদের দখলে রাখেন।
হঠাৎ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলামের ভাই আমির হামজার নেতৃত্বে হজরত আলী, আবুল হোসেন ও আব্দুল করিম সহ অজ্ঞাত আরো ২৫ জন অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওই জমির প্রাচীর ভেঙ্গে সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এখবর জানতে পেরে তার দুলাভাই রফিকুল ইসলাম উক্ত ব্যক্তিদের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে দেন। সদর থানার পুলিশ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে থানায় কাগজ পত্র নিয়ে শনিবার হাজির হওয়ার জন্য বলেছেন বলে তিনি আরো জানান।
এ ব্যাপারে আমির হামজা জানান, চলতি বছরে গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে তিনিও ৫ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকে তিনি ওই জমি দখল না পাওয়ায় রফিকুল ইসলামের কাছে তার জমিটি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তিনি জায়গাটি বুঝিয়ে না দেয়ায় এক পর্যায়ে তিনি আদালতে রফিকুল ইসলামের নামে একটি মামলা করেন। যা চলমান রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে স্ব স্ব কাগজ পত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কাগজ পত্র দেখার পর যে প্রকৃত মালিক তিনিই এই জমি ভোগ দখলে যাবেন।
Leave a Reply