শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, মৃত্যুর আগপর্যন্ত সত্য বলব : কাদের মির্জা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১
  • ১৪৪
ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, মৃত্যুর আগপর্যন্ত সত্য বলব : কাদের মির্জা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, অনেকবার জেল খেটেছি। আর মেরে ফেলবেন? সেটা শেষ। আমি সাহস করে সত্য কথা বলেছি, বলব মৃত্যুর আগপর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পথসভায় এসব কথা বলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা।

দলের জেলা কমিটি নিয়ে ক্ষোভের পুনরাবৃত্তি করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজে মুজিববাদী ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড উঠিয়েছে কে, সাহাব উদ্দিন। আর এখন তারা ত্যাগী নেতা নন, ত্যাগী নেতা জাবেদ (মিনহাজ আহমেদ জাবেদ), ত্যাগী নেতা মানিক (তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া)। আমরা যদি সত্যিকারের কাজের লোকের মূল্যায়ন না করি, বাজে লোকের সৃষ্টি হবে। ত্যাগী লোকের কথা না বললে ত্যাগী লোকের সৃষ্টি হবে না।

কাদের মির্জা আরও বলেন, আমি এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। বহিষ্কার করলে সে দিনের মতো সেখানে (জিরো পয়েন্ট) গিয়ে শুয়ে থাকব। কেউ সঙ্গে না গেলে একা থাকব। জেলে দিলে, আমি জেল ’৮২ সাল থেকে খেটেছি। তিতা হয়ে গেছি জেল খাটতে খাটতে। এগুলোকে ভয় পেয়ে লাভ নাই।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনার শাহদাত হোসেন চৌধুরী সাহেবকে বলেছি, নিরপেক্ষ ভোট করে দেওয়ার জন্য। প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে। আমি তাদের গোমর ফাঁস করে দিয়েছি। কিছু লোকের থেকে মাসোয়ারা খায়, তবে সবাই খারাপ—এটাও ঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রশাসন আজ মনে করে শেখ হাসিনাকে আমরা বানাইছি, যা ইচ্ছা তা করব। রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির বিচার হয়, এতে মানুষ খুশি। কিন্তু প্রশাসনের লোক যে এটার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হয় না।

মেয়র প্রার্থী বলেন, আজ গরিব মানুষ সরকারি অফিসে গেলে দুই-তিন হাজার টাকা দিতে হয়। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ কেউ আমাকে বলে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আসতে। আমি কি পাগল হয়ে গেছি?’ একজন পুলিশ কত টাকা বেতন পায়? চাকরি নিতে তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়। একজন স্কুলের পিয়নকে চাকরি নিতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়। সর্বত্র অনিয়ম। কবিরহাটে আমাদের কর্মীদের দিকে তাকানো যায় না। চার-পাঁচজন সব লুট করে খাচ্ছে। এই কথাগুলো আমি বললে অপরাধ। বলা যাবে না, আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র পাঠায়।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ‘সত্য বচন’ অব্যাহত রেখেছেন আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এসব বক্তব্যে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির গঠনে নানা অনিয়ম দূর করার দাবি জানান তিনি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধেও সরব হন। এসব দাবিতে গত রোববার সমর্থকদের নিয়ে বসুরহাটের জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্বরে সমর্থকদের নিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT