শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

মসজিদ পোড়াচ্ছেন হিন্দুরা, মন্দির রক্ষা করছেন মুসলমানরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ১৯৩
মন্দির রক্ষা করছেন মুসলমানরা

দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদীদের চলা তাণ্ডবের মধ্যেই সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ছবি উঠে এসেছে পুরনো মুস্তাফাবাদের বাবুনগরে। লাগাতার চলা এ সহিংসতায় বেশ কয়েকটি মসজিদ পুড়লেও মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে শিব মন্দির রক্ষা করেছেন মুসলমানরাই। গত ছয়দিন দিল্লি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও দাঙ্গার আগুনে জ্বলেছে। হিন্দুত্ববাদীরা মুসলমানদের রক্ত ঝরাতে বেপরোয়া হয়ে উঠলেও ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রুখে দিয়েছেন সংঘর্ষ। তুলে ধরেছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত দেশবন্ধু কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ হাসিন এমনই এক জন। ২৪ বছরের এ ছাত্রের কথায়, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমরা চেয়েছিলাম সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে। যাতে হিংস্র জনতার মোকাবিলা করা যায়।’ যে কোনো মূল্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্প্রীতি অটুট রাখাই ছিল তাদের সংকল্প। সে জন্য মন্দির বাঁচাতে ওই কয়েকটা দিন পালা করে পাহারা বসিয়েছেন তারা। হাসিনের কথায়, ‘দুই ধর্মের মানুষই ছোট ছোট দল বানিয়ে করে সতর্ক থেকেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাতে তুলে নিয়েছিলাম লাঠি।’

মন্দিরের খুব কাছেই থাকেন কামরুদ্দিন। স্থানীয় চায়ের দোকানে খাবার সরবরাহ করে সংসার চলে তার। এ কামরুদ্দিনের মুখেও সম্প্রীতির সুর। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা একসঙ্গে থেকেছি। কখনও সংঘর্ষের কথা ভাবতেই পারিনি। এ কঠিন সময়ে মানবতা রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদ জ্বলে গিয়েছে জানি, কিন্তু মন্দিরে কোনো আঁচ লাগতে দেব না।’ গত ৩০-৩৫ বছর ধরে মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করছেন রীনা (৫২)। দৈনন্দিন পুজার সব দায়িত্বই তার। এই বিপদের সময়ে তিনিও ধর্ম বিচার না করে আস্থা রেখেছেন ভিন্ন ধর্মের ভাইদের উপরেই। তুলে দিয়েছেন মন্দিরের চাবি।

রীনা বলেন, ‘ওরা তো নিজেদেরই লোক। গত কয়েক দিন মন্দিরে যেতে পারিনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম, ওরা থাকতে মন্দিরের কোনও ক্ষতি হবে না। এত দিন একসঙ্গে রয়েছি। পরিস্থিতি খারাপ বলে কি সব বদলে যাবে? আমরা পৃথকভাবে ধর্মপালন করলেও ঈশ্বর তো একই।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT