শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

মহাবিপদের সামনে ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০
  • ২৪০
ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী এগারো হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী ভাইরাসের থাবায় অঞ্চলটিতে ৯ জনের প্রাণহানিসহ ৮৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও সেগুলো ঠিক কতটুকু কাজে লাগছে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল হওয়ায় ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ভারত হয়ে উঠতে পারে করোনা ভাইরাসের পরবর্তী হটস্পট। তাই দেশটিকে এখনই করোনা আক্রান্ত মানুষের সুনামির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) ওয়াশিংটন ও দিল্লিভিত্তিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ, ডিনামিকস, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির পরিচালক ড. রামানান লক্ষ্মীনারায়ণ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

সেখানে তিনি বলেছিলেন, ভারত হবে করোনা ভাইরাসের পরবর্তী হটস্পট। সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী বাংলাদেশও বেশ ঝুঁকিতে আছে। কেননা সেখানেও লোকজন এই ভাইরাসটি নিয়ে এতটা সচেতন নয়।

ড. রামানান লক্ষ্মীনারায়ণ আরও বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অনুমান করতে যে গাণিতিক সূত্র অনুসরণ করা হয়েছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলে দেশটিতে কমপক্ষে ৩০ কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৮০ লাখ মানুষের শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১১ হাজার ৩১৩ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT