সংসার চালাতে টাকা চেয়েছিলেন স্ত্রী। টাকা না পেয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেছিলেন। এর জেরে মুগুর দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ববর্ধমান জেলার রায়না থানার নাড়ুগ্রামের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটটিনের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত আলেয়া বেগমের সঙ্গে দীর্ঘ ২৫ বছরের সংসার ছিল শেখ জমিরউদ্দিনের। তাদের চারটি মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। অভাবের সংসারে ইদানীং স্বামীর সঙ্গে আলেয়ার অশান্তি চলছিল। সংসার চালাতে রোববার টাকা চেয়েছিলেন আলেয়া। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাতে সেই ঝগড়া চরমে পৌঁছলে রাগের মাথায় মুগুর দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন জহিরউদ্দিন। জ্ঞান হারিয়ে বিছানায় লুটিয়ে পড়েন আলেয়া। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
ঘটনার পর সোমবার সকালে এলাকা ছাড়েন জহিরউদ্দিন। নাড়ুগ্রাম থেকে পালিয়ে যান বর্ধমানে। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর অনুশোচনা হয় তার। সরাসরি চলে যান রায়না থানায়। সেখানে পুলিশ অফিসারদের কাছে স্ত্রীকে খুন করার কথা জানান তিনি। প্রথমে তার কথা বিশ্বাস করতে চাননি রায়না থানার পুলিশ অফিসাররা। তাকে থানায় বসিয়ে রেখে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে দেখে, বিছানায় পড়ে আছে আলেয়ার মৃতদেহ। এই খবর পাওয়ার পর জহিরউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করে রায়না থানার পুলিশ।
রায়না থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, ওই ব্যক্তি থানায় এসে স্ত্রীকে গতরাতে মেরে ফেলার কথা জানায়। প্রথমে আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। অনুশোচনা হওয়াতেই তিনি বর্ধমানে পালিয়ে গিয়েও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থানায় ফিরে আসেন।
Leave a Reply