শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ নীরব ভূমিকা পালন করে চলছে।
কিছু অসাধু রেজিস্টারের মাধ্যমে কোর্ট এফিডেভিটের নামে ইউনিয়ন দুটিতে হরহামেশায় ঘটছে বাল্যবিবাহের ঘটনা। আর এ কাজে সহযোগীতা করছে এক শ্রেণির অর্থলোভী কম্পিউটার পরিচালনাকারীরা। তারা সফটয়ারের মাধ্যমে শিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে দেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালী গ্রামের এক ভুয়া রেজিস্টার মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বাল্যবিবাহ পরিচালনা করছে।
অপরদিকে ইটভাটার সর্দাররা দেশের বিভিন্ন জেলার ইটভাটা মালিকদের নিকট থেকে মোটা অংকের দাদনের টাকা এনে এলাকার শিশুদের অভিভাবকদের অর্থের লোভ দেখিয়ে কোমলমতি সোনামনিদের শ্রমমুখী করছে।
এলাকার সূত্রে জানা যায়, একজন শিশু ভাটায় রাত ৩ টা থেকে নয়টা পর্যন্ত পরিশ্রম করে সীমিত টাকা আছে আর বাড়িতে এসে অনেকে হারাচ্ছে তাজা প্রাণ আর তা না হলে ভুগছে কঠিন রোগে বাংলাদেশ সরকারের আইন অমান্যকারীদের আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বাল্যবিবাহ শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply