মেঘনায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবিতে ৮ জন নিখোঁজ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১১৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক ট্রলারডুবিতে আট জন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীতে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে পর্যটকবাহী ট্রলারের ধাক্কা লাগলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপর ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এর মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও আট জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), শহরের নিউটাউন এলাকার আরাধ্য দে, বেলাল দে, রূপা দে (৩৫) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।

নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকালে ঘুরতে বেরিয়েছিল। ট্রলারডুবিতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন শেষটা দেখার অপেক্ষায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT