শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

মোবাইলে কথা বলার খরচ বাড়বে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪
  • ২২৫

মোবাইল ফোন এখন সবার কাছেই অতি প্রয়োজনীয় একটি যোগাযোগের মাধ্যম। কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে জীবনযাত্রার নিত্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ এই মোবাইল ফোন। নতুন বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরও ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (৬ জুন ) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি এই প্রস্তাব করেন।

 

এদিন বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

 

বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। বর্তমানে একজন ভোক্তা মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তারা ৬৮ টাকার কথা বলতে পারবেন।

 

এই খরচ আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) থেকেই তা কার্যকর হতে পারে।

 

কেবল মোবাইল ফোনের টকটাইম বা ইন্টারনেট নয়, ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক সম্পর্কিত যত ধরনের হার কমানো বা বাড়ানোর প্রস্তাব থাকে, তা বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই কার্যকর হয়। যদিও অর্থবছর শুরু হয় ১ জুলাই থেকে।

 

বাজেট বক্তৃতার পাশাপাশি একটি অর্থবিলও প্রকাশ করে সরকার। সেখানে শুল্কহার পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে। অর্থবিলের শেষ পৃষ্ঠায় ‘প্রভিশনাল কালেকশন অব ট্যাক্সেস অ্যাক্ট, ১৯৩১’-এর অধীনে নতুন পরিবর্তন ‘অবিলম্বে কার্যকর’ বলে উল্লেখ করা হয়। এর মানে হলো, ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক সম্পর্কিত (মূলত পরোক্ষ কর) পরিবর্তনের প্রস্তাব বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই কার্যকর হয়।

 

এদিকে মোবাইল অপারেটরদের সিমকার্ড বিক্রির ওপর কর ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। এর ফলে বাড়তি দামে সিমকার্ড কেনা লাগবে গ্রাহকদের।

এদিকে মোবাইল অপারেটররা বলছেন, সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে।

অপরদিকে বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে ১ হাজার টাকা।

 

বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে তিন থেকে সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। নতুন বাজেটে এ খাতে ভ্যাট আরও ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এ খাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

 

উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ সালের বাজেটে প্রথমবার মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক নিয়ে আসা হয়। প্রথমে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিলেও পরে তা ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয় বিভিন্ন পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে। কিন্তু দুই বছর বাদে আবার এই শুল্ক ৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে তা ১০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ করা হয়। মাঝে যোগ করা হয়েছে ১ শতাংশ সারচার্জ। বাড়তে বাড়তে এই খাতে কর এখন ৩২ দশমিক ৫ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। নতুন বাজেটে শুল্ক আরোপ হলে তা ৩৯ শতাংশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

 

এছাড়া, স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল ফোন উৎপাদনে বর্তমানে সবমিলিয়ে ২৬ শতাংশ ও আমদানি করা মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ৫৭ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। জানা গেছে, স্থানীয় ও আমদানি করা মোবাইল ফোনে করের হার বাড়তে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বর্তমানে স্থানীয় কোম্পানিগুলো মোবাইল ফোনের চাহিদার ৯৭ শতাংশই জোগান দিচ্ছে। ২০২১-২২ সালে এ খাতে অনেক বিনিয়োগ এসেছে উল্লেখ করে তারা বলছেন, নতুন করে ভ্যাট আরোপ করলে এসব বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।

 

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক বলেছেন, ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি মোবাইল সেটের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT