অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী শরিফুল-সাকিব-মৃত্যুঞ্জয়-শাহীনদের উত্তরসূরিদের নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে বিশেষায়িত ক্যাম্প পরিচালনা করছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৯ এই পেসারদের নিয়ে কার্যক্রম চলবে। জাতীয় দলের সাবেক পেসার তালহা জুবায়েরের তত্ত্বাবধানে এরা পরবর্তী যুব বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
তালহা এই তরুণদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী। আকবরদের প্রস্তুতি করতে দেশে ও দেশের বাইরে অনেকগুলো টুর্নামেন্ট ও সিরিজ আয়োজন করেছিল বিসিবি। কিন্তু করোনার কারণে বর্তমান সময়ে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আগামী ২০২২ যুব বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবু এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পেসারদের যতটুকু সম্ভব প্রস্তুত করতে চান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেস বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের, ‘অনেকদিন ধরেই এই বোলারদের নিয়ে কাজ করছি। শেষ যে ক্যাম্প হয়েছে সিলেটে, ওখানে আমরা ম্যাচ খেলেছি। এখনও পর্যন্ত ভালো করছে। এই বয়সে যে পেস থাকার দরকার, আরও বেটার করার জন্যই আমরা ক্যাম্পটা করছি। আমরা ট্যুরে যেতে পারছি না, আমাদের দেশেও কেউ আসতে পারছে না। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সুবিধাগুলো দিয়ে যতটুকু সম্ভব ওদের ভালো বোলার বানানো যায়।’
তরুণ পেসারদের সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তালহা বলেছেন, ‘ছোট থেকেই পেস বোলারদের ন্যাচারাল পেস থাকে। যদিও আমরা স্পিড ওভাবে মাপতে পারিনি। খালি চোখে দেখে মনে হয়েছে, ১৩০ গতিতে বল করতে পারে ওরা। এখন আমরা যে চেষ্টাটা করছি স্ট্রেংথ ট্রেনিং হোক বা ফিটনেসে আরেকটু জোর দিয়ে হোক, ওদের সামর্থ্য বাড়ানোর।‘ ক্যাম্পে না থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ট্রেনার রিচার্ড ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন, বলেছেন তালহা, ‘আমাদের ট্রেনার রিচার্ড ছেলেদের প্রচুর সাহায্য করছে। ও (রিচার্ড) এখন দেশে নেই, কিন্তু আমাদের যে গ্রুপটা আছে ওখানে সে নিয়মিত ট্রেনিংয়ের নানা কিছু পাঠাচ্ছে। খেলোয়াড়েরা সেগুলো অনুসরণ করছে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রস্তুতিটা ভালো হলেও ম্যাচ খেলতে পারছেন না তারা। বিষয়টি নিয়েই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক পেসার, ‘আমরা তখনই ফল পাবো, যখন ম্যাচ খেলতে পারবো অন্য দেশগুলোর সঙ্গে। এটা বোর্ড থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু করোনার কারণে পারা যাচ্ছে না। আমরা নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলেছি এবং সামনে আরও খেলবো। সামনে হয়তো আরও দুটি অতিরিক্ত দল যোগ করে বড় কিছু হতে পারে। যদি হয় ভালো। আমরা যখন ম্যাচ খেলতে পারবো, তখন প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবো।’
Leave a Reply