জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন বলেছেন, দেশে এক শ্রেণির মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজ, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ও লুটেরাদের লালন করে। আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় এর বিনিময়ে তারা পালিতদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সকল রাঘব বোয়াল ও গড ফাদারদের স্পর্শ না করে তাদের পালিত চুনোপুটিদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে তা জনগণের আই ওয়াস করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা মাত্র। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় জেএসডি’র খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ যেহেতু সরকারের দুরভিসন্ধি বুজে ফেলেছে তখন আর এ লুটেরা সরকারের পক্ষে খুব বেশি দিন ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এর পতন ত্বরান্বিত করতে মুক্তিযুদ্ধের ধারক সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেএসডি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপি জনাব এম এ গোফরান।
স্থানীয় উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে জেএসডি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি জনাব লোকমান হাকিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডি’র যশোর জেলা সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, খুলনা জেলা জেএসডি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাড. আ ফ ম মহসীন, খুলনা মহানগর জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ শেখ আবদুল খালেক, যশোর জেলা জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ বিপ্লব আজাদ, জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা বাগেরহাটের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ খান, জেএসডি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা জেএসডি’র নেতা মীর জিল্লুর রহমান, বাগেরহাট জেলা জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ও নড়াইল জেএসডি’র নেতা ফকির শওকত, খুলনা জেলা জেএসডি’র নেতা আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক ছাত্র নেতা মোস্তাকুজ্জামান, যুব নেতা মমিন উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় আগামী ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় সকল থানা/উপজেলা, জেলা ও মহানগর কাউন্সিল সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Leave a Reply