শিরোনাম :
সাতক্ষীরার আসিফসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদানের কথা ভুলে গেলে হবে না : আসিফ মাহমুদ কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিবন্ধী নারীর স্বামীকে মারপিটের অভিযোগ! ভারতে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ‘পেয়েছেন’ শেখ হাসিনা বিচারাধীন ৬ লাখ: থমকে আছে চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারও বিশ্ব বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম বিপিএলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ১২ ক্রিকেটার কারা? দেবহাটা প্রেসক্লাবে সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি অনুষ্ঠান সাতক্ষীরায় আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সম্মেলন সাতক্ষীরায় স্থানীয় জাতের ব্যতিক্রমধর্মী বীজমেলা দূর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব

শবে কদরে যে ২টি বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১০৮
যেসব আলামতে চেনা যাবে লাইলাতুল কদর

হাজার মাসের ইবাদতের থেকে উত্তম শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। এ রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ হলে আল্লাহ তায়ালা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি)।

এ রাতটি রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে খুঁজতে বলা হয়েছে হাদিসে। আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৯)

ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকা

কদরের রাতটিকে হাদিসে নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ রাতটি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. সাহাবিদের জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দুই ব্যক্তির ঝগড়ার কারণে তা গোপন রাখা হয়। এ বিষয়ে হজরত উবাদা ইবনে সামিত রা. থেকে বর্ণিত যে—

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে জানাতে বের হলেন। এ সময় দু্ই জন মুসলমান ঝগড়া করছিলেন। তখন নবী কারিম সা. বললেন, আমি আপনাদের ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, উঠিয়ে নেওয়াটা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে। আপনারা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ তম) এবং পঞ্চম (২৫ তম) তারিখে এর সন্ধান করুন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯)

এ জন্য কদরের রাতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু কদরের রাতটি নির্দিষ্ট নয়, তাই রমজানের শেষ দশকের পুরোটা সময় বিশেষ করে বিজোড় রাতগুলোতে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকা উচিত। বলা যায় না, কোনও একটি রাত হয়তো কদরের হলো কিন্তু কেউ বিবাদে লিপ্ত থাকার কারণে তা থেকে বঞ্চিত হলেন।

এশা ও ফজর নামাজ জামাতে আদায়

কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য মোটামুটি সবাই রাতভর নফল নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকে যে ভুলটি করেন তা হলো জামাতে নামাজের গুরুত্ব দেন না। অথচ নফল ইবাদতের থেকেও ফরজের গুরুত্ব বেশি।

এ জন্য সম্ভাব্য শবে কদরে অন্তত এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। যেন কোনোভাবেই জামাতের নামাজ ছুটে না যায় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

তাহলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শবে কদরের ফজিলত লাভ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬)।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT