হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজায় সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৮টি পূজা মন্ডপে এবার পূজা হবে। ইতিমধ্যে মন্ডপ কয়টির প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে আর সাজ সাজ রবে আগামীকাল শুরু হচ্ছে শারদীয়া দূর্গা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এবার শান্তির বার্তা নিয়ে আসছেন দেবী দুর্গা। সমস্ত বিপদ-আপদ নাশ করেন দুর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গা।
সরজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন মন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দুর্গা ঠাকুর তৈরী ও মন্দির সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে। এলাকার উল্লেখযোগ্য মন্ডপ গুলোর মধ্যে রয়েছে ঝাউডাঙ্গা মানিকতলা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, ওয়ারিয়া পূজা মন্ডপ, পাথরঘাটা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, হাজিপুর সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, রাজবাড়ি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, হাচিমপুর পূজা মন্ডপ, ছয়ঘরিয়া দাসপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, আখড়াখোলা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, ছাতিয়ানতলা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ প্রভৃতি।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অমরেন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, এবছর ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎযাপিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
জেলা মন্দির সমিতির যুব কমিটির সভাপতি ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, পূজা উৎসব সকলের জন্য। প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নের্তৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারের পূজাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশাবাদী। বিগত দিনে আমাদের এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ঝাউডাঙ্গা ঘোষপাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ার দুটি পূজা মন্ডবকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন টিম সার্বক্ষনিক ভাবে এখানে তদারকি করবে। এছাড়া স্ব-স্ব পূজা মন্ডপে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দরা কড়া নজরদারী করবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা ধর্মীয় বেড়াজাল পেরিয়ে এটি সামাজিক উৎসবে রুপ নিয়েছে। দূর্গোৎসবকে সফল ভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা একান্তভাবে কামনা করছি।
সদর থানার পক্ষ হতে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। পূজার সময় প্রতিটি মন্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঝাউডাঙ্গা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মাষ্টার তারকনাথ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল এলাকা হল ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন। এখানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা রাখি। প্রতি মন্ডপে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চৌকিদার ও আনছার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তিনি শারদীয় দুর্গোৎসব সফল করতে ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।
Leave a Reply