শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

শীতের আগে ভ্যাকসিন না এলে আরও ভয়াবহ হবে করোনা!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০
  • ১৬৫
করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিকী ছবি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটি একযোগে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এর প্রকোপে ইতোমধ্যে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।

এর মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা আমেরিকা। এছাড়া ব্রিটেন, ব্রাজিল, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও মেক্সিকোও ধ্বংযজ্ঞে পরিণত হয়েছে করোনার তাণ্ডবে।

বিশ্বজুড়েই যেন ত্রাসে রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ১৭ হাজার জনের।

এমতাবস্থায় ভ্যাকসিন ছাড়া কোনও গতি খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বর্ষা কাটতেই শীতের প্রকোপ বাড়বে, তাতে বেশ খারাপ অবস্থা হবে মানুষের। শীত কড়া নাড়লেই করোনার প্রকোপ বাড়বে বলেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা সাবধান করছেন, শীত পড়লে করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারেন বিশ্ববাসী।

এমনিতেও শীতকালে সর্দিকাশির প্রভাব বেশি থাকে। কারও কারও টাইফয়েড, নিউনোমিয়াও হয়। ভাইরাল জ্বরও হয়ে থাকে ঘরে ঘরে। এর মধ্যে যদি করোনা বাড়ে, সেটা সামলানো কঠিন হবে। তাই এ বছরের শীতকাল নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞানীরা এও জানাচ্ছেন, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি কতটা হয়েছে, তা কেউ জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বছরের শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা হবে আরও বেশি ভয়ঙ্কর। সমগ্র বিশ্বের খারাপ পরিণতির অবস্থা বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা একটি মডেল তৈরি করেছেন। তাতে বলা হচ্ছে, ব্রিটেনের হাসপাতালেই ২৪ হাজার ৫০০ থেকে ২ লাখ ৫১ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ২০২১ সালে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।

করোনার প্রথম ধাক্কায় সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ কেটে যাওয়ার ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত এঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা শীর্ষে ছিল, তারপর ধীরে ধীরে কমে পুরো উধাও হয়ে যাচ্ছে।

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ৬০ শতাংশ রোগীর শরীরে সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে ভাল অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তাদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশের শরীরে সেই পরিমাণ অ্যান্টিবডি সংক্রমণের ৩ মাস পরেও থাকে। অর্থাৎ শীতকালের পরে এই ১৭ শতাংশ বাদে বাকিদের নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এর মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে সংক্রমণ কমানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT