আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চায়ের দোকান গুলোতে নির্বাচনী আমেজ জমে উঠেছে। চা বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চা বিক্রিতে। সকাল হলেই জমজমাট হয়ে উঠছে চায়ের দোকানগুলো।
চায়ের দোকানের ভিড় দেখলে সহজেই উপলব্ধি করা যায় গ্রামীণ মানুষেরা মেতে উঠেছেন নির্বাচনী আমেজে। তাদের আলোচনার প্রধান বিষয় সম্ভাব্য প্রার্থী। অনেকেই আবার বিশ্লেষণ করছেন দলীয় মনোনয়ন কে বা কারা পেতে পারেন সেটা নিয়ে।
এবার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে অর্ধ ডজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ডজন পাচেক মেম্বার প্রার্থী ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন। অনেকেই শুরু করেছেন মত বিনিময়। খোঁজখবর নিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের। বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
ভোটারদের মনোভাব জানতে এই প্রতিবেদক বিভিন্ন চায়ের দোকান ঘুরে খেটে খাওয়া মানুষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে জানতে পারেন যে, তাদের সবার একটাই দাবি এলাকায় যেন কোন ধরনের হানাহানি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সবাই যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। মু
ন্সিগঞ্জ বাজারের একটা চা দোকানে কিছু সময় বসলে শোনা যায় আগামী নির্বাচনে নিয়ে কথা বার্তা শুনে প্রতিবেদক এর এক প্রশ্নের উত্তরে একজন বৃদ্ধ জানান, বাবা আগে আমরা ভোট দিয়েছি সে সময় এরকম কোন হানাহানি-মারামারি ছিল না এখন যেন নির্বাচন আসলেই হানাহানি মারামারি হয় এরকম হলে আমি ভোট দিতে যাব না।
হরিনগর বাজারের একজন চা বিক্রেতা নির্বাচন নিয়ে বলেন, সামনে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তাই মানুষের উপস্থিতি বেশি আর তাই আমার চা বেচাও অনেক বেশি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন আমি মনে করি এবারের নির্বাচনে কোন ধরনের হানাহানি মারামারি হবে না নির্বাচন হবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ।
চায়ের দোকানে অবস্থানরত কয়েকজন ভোটার বলেন এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কোন ধরনের হানাহানি হবে না সর্বদা সুখে দুঃখে আমার পাশে থাকবে এমন প্রার্থী আমরা চাই।
Leave a Reply