সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রমজানগর ইউনিয়নের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সিনিয়র সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৯ আগস্ট ২০২০ তারিখের ভার্চুয়াল সভায় প্রদত্ত নির্দেশনা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কারের টাকা লুটপাট, আত্মসাৎ এর জন্য দেয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ বিদ্যালয়কে শিশুদের পাঠদান উপযোগী করার লক্ষ্যে প্রদান করা হয়েছে। বিধায় এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। স্লিপ বরাদ্দসহ অন্যান্য সকল বরাদ্দ যথাযথভাবে ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। সকল প্রকার মেরামত ও সংস্কার কার্যক্রম যথাযথ মান নিশ্চিতকরণপূর্বক প্রধান শিক্ষক, এইউইও, ইউইও প্রতিবেদন দেবেন।
কোন বিদ্যালয়ে মেরামত ও সংস্কার কাজ বাকি থাকলে তা ৩০ আগস্ট ২০ তারিখের মধ্যে অবশ্যই শতভাগ মানসম্মতভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিত করতে হবে। উক্ত তারিখের পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক বাস্তব অবস্থা যাচাই করবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ আছেন।
রমজানগর ইউনিয়নের ৬১ নম্বর ভেটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৬ নম্বর পাতাড়া খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৭ নম্বর কালীঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯২ নম্বর মরাগাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯৩ নম্বর নতুন ঘেরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭১ নম্বর ট্যাংরাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও গোলাখালী আকবর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিদের্শনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
৯৩ নম্বর নতুন ঘেরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রাধাপদো মন্ডল বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে মিস্ত্রি সংকটের কারণে বাকি কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।
১৭১ নম্বর টেংরাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, আমি মালামাল ইতিমধ্যে এনেছি কিন্তু মিস্ত্রি সংকটের কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি।
১৯০ নম্বর গোলাখালী আকবর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (চ.দা.) তুষার কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার স্কুলের কাজ চলমান রয়েছে আমি আপনাদের কাছে কোন বিষয় কৈফিয়ত দেবনা। আমি সংশ্লিষ্ট এটিওর সাথে পরামর্শ করে কাজ করছি। আমি এটিও সাহেবের কাছে জবাবদিহিতা করব।
৭৬ নম্বর পাতড়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেমন্তকুমার দেবনাথ বলেন, আমার স্কুলের কাজ চলমান রয়েছে।
রমজান নাগর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের বরাত দিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে গত ৩১ আগস্টে ২০২০ মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। আমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুই-একদিনের ভিতরে সরোজমিনে খোঁজ খবর নেব। যদি তাদের কাজে কোনরকম গাফিলতি থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানার জন্য তার ব্যবহারিত মুঠোফোনে ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply