দেবী দূর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ আর জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এমন বিশ্বাস নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্যামনগর উপজেলার ৩৫টি পূজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মন্দির ভিত্তিক কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রসাশন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে আকর্ষণীয় করতে উপজেলার ৩৫টি মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দীর্ঘ দুই তিন মাসের পরিশ্রমে করা প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলবে রঙের প্রলেপ ও অঙ্গসজ্জার কাজ। দেবীর মর্তে আগমনের আগেই শেষ করতে হবে এ কাজ। তাই কাজের চাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
প্রতিমা শিল্পী মালাকরা বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার খানিকটা আগে ভাগেই প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে প্রতিমা তেরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন চলবে প্রতিমায় রং তুলির কাজ।
আগামী ২২ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করায় স্বস্তির কথা জানালেন শ্যামনগর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভপতি ।
তিনি বলেন, উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্দিরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিবারের মতো এবারও শ্যামনগর উপজেলায় নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব সম্পন্ন হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মন্দির ভিত্তিক কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান শ্যামনগর থানার দায়িত্বরত ওসি আলহাজ নজমুল হুদা।
এবার দেবী দুর্গা তার ভক্তদের মাঝে আসবেন দোলায় করে, ফিরবেন গজে করে। শান্তিপূর্ণভাবে এ উৎসব পালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
Leave a Reply