শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা কিশোরটি সামলাচ্ছেন ৪শ কোটির ব্যবসা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০
  • ১৫৭
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করা কিশোর

ভারতের কেরালার ওয়ানাডের এক প্রত্যন্ত এলাকায় মুস্তাফার জন্ম। পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে স্কুলে যাওয়া শুরু করলেও মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণিতেই ফেল করে বসে সে। সেই ছেলেই এখন ৪০০ কোটি রুপির মালিক।

ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে জানা গেছে, একটি কারখানায় তাকে মজুরের কাজে লাগিয়ে দিলেন বাবা। সেই বয়সেই নিজের ভবিষ্যতটা দেখে নিয়েছিলেন মুস্তাফা। কিছুদিন কাজ করার পরই তিনি নিজেকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

ফের মন দিয়ে পড়ালেখা শুরু করলেন তিনি। স্কুল পাস করে কালিকটের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংও পাস করলেন। চাকরি নিলেন বেঙ্গালুরুর মোটোরোলা কোম্পানিতে।

তারপর সেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে যুক্তরাজ্যে যান। এরই মধ্যে জীবনটা গুছিয়ে ফেলেন। কিন্তু তাতেও মন ভরছিল না তার। কয়েক বছর পর দেশে ফিরে করলেন এমবিএ।

তখনই নিজের ব্যবসা শুরু করার কথা মাথায় আসে তার। বেঙ্গালুরুর থিপাসানদ্রাতে তার আত্মীয়দের একটি দোকান ছিল। প্রায়ই সেখানে বসে গল্পগুজবে কাটিয়ে দিতেন।

খুব অবাক হয়ে দেখতেন, প্রতিদিনই ইডলি এবং দোসার ব্যাটার (চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি) দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন লোকজন।

ইডলি

তখনই প্যাকেজড ফুড ব্যবসার কথা মাথায় আসে তার। প্রথমে মাত্র ৫০ হাজার রুপি দিয়ে শুরু। একটা ছোট দোকান নিয়ে কিছু ব্যাটার বানিয়ে বাড়িতে বাড়িতে বিতরণ শুরু করেন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০০৮ সালে ৫০ বর্গফুটের একটা ছোট রান্নাঘর ভাড়া নেন তিনি। সঙ্গে কেনেন একটা গ্রাইন্ডার। স্কুটারে করে ব্যাটারগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেন। একটু জনপ্রিয় হলে কোম্পানির নাম দেন বেস্ট ফুড প্রাইভেট লিমিটেড।

পরে নাম বদলে রাখেন আইডি স্পেশাল ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড।

২০১০ সাল নাগাদ তার ব্যবসা চার কোটি রুপি ছুঁয়ে ফেলে। ততদিনে ৪০ জন কর্মচারীও নিয়োগ করে ফেলেছেন মুস্তাফা।

দোসা

এখন বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, ম্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, পুনে এবং বিদেশে শারজাতেও রয়েছে তার ব্যবসা। ৫০ কেজি ব্যাটার সরবরাহ করে তার কোম্পানি।

সঙ্গে যোগ হয়েছে ৪০ হাজার চাপাতি, দুই লাখ পরোটা, দুই হাজার টমেটো এবং ধনেপাতার চাটনির প্যাকেট। ডেলিভারির জন্য কোম্পানির নিজস্ব ২০০টি গাড়ি রয়েছে। কর্মচারীর সংখ্যা সাড়ে ছয়শ।

২০১৯-২০ সালে মুস্তাফার কোম্পানিতে বিক্রি হয়েছে ৪০০ কোটি রুপির বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT