সংবিধান সংস্কারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ায় তা হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়া বলা সম্ভব নয়। আমাদের ছাত্র-জনতার কাছে ফেরত যেতে হবে। ছাত্র-জনতার যে সমন্বয়করা রয়েছেন, তারা সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।’
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে দাবিটা আসতে হবে। তারা কি নতুন সংবিধান চায়, নাকি পুরনো সংবিধান সংস্কার করে সংশোধনের মাধ্যমে আনতে চায়। এ বিষয়ে জনগণের রায় নিতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে আনা যায়, সেটা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর নাকি, চার বছর করা হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের সরকার (মেয়াদ) যদি চার বছরের হতে পারে, আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশ, আমার কেন পাঁচ বছর লাগবে।’
উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আপনারা কী করছেন— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে তোমাদের প্রত্যাশা যেটা যে কালকেই হয়ে যেতে হবে, সেটা হয় না। ছাত্র-জনতার বক্তব্য কী? সেটা একটু শোনেন। আমরা সেকেন্ডারি (দ্বিতীয় স্তরে)।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা প্রত্যেক দিন সমন্বয়রের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন, ছাত্র-জনতা শ্রমিকের বিপ্লবের প্রতিনিধি যারা আছেন, তাদের মুখোমুখি হন। আমরা কিন্তু সেকেন্ডারি, ওখান থেকে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো আসবে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, সেটা আমরা এক্সিকিউট (বাস্তবায়ন) করবো। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, আমি যেই হই না কেন, আমার ৫৭ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকুক না কেন, সেটা মুখ্য নয়। প্রথমে হচ্ছেন তারা (সমন্বয়ক)। ডেফিনেটলি এটা একটা মেজর ইস্যু, ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট ইলেকশন।’
Leave a Reply