স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘শুধু ক্যাসিনো নয়, সব অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। আমরা বিভিন্ন বারের যেমন লাইসেন্স দিয়ে থাকি, তেমনি ক্যাসিনো চালাতে গেলে সরকারের অনুমোদন লাগবে। যারা এ ব্যবসা করছে তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়নি। তারা অবৈধভাবে এ কাজটি চালাচ্ছিল। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন এ অভিযান, আপনারা কি আগে থেকে এ বিষয়ে জানতেন না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সে তথ্যের আলোকে এ অভিযান চালানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু এখন না, আমরা আগেও এ রকম অভিযান চালিয়েছি।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি কলাবাগান ও কাওরানবাজারের দুটি ক্লাবে অভিযানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযানে ওই ক্লাব দুটির অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আপনারা তৎপর হয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পরিষ্কার। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি আমরা অনুসরণ করছি। উনি যেভাবে নির্দেশনা দেন সেভাবে আমরা কাজ করছি।’
ক্যাসিনোর কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের লোকও জড়িত ছিল এমন তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ রকম কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে আটক যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার টর্চার সেলের খোঁজ পাওয়া গেছে−এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই ব্যাপারেও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্যাসিনো চালানো ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। এ বিষয়ে তার ভূমিকা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে কতখানি জড়িত সেটা তদন্তের ব্যাপার। তদন্ত শেষে এসব বিষয়ে বলা যাবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তার নিজস্ব বক্তব্য।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীসহ অন্য খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি পথে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার।’
Leave a Reply