ক্যাসিনো’র সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাসহ ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে’ গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অফিসের পাশাপাশি তার শান্তিনগর ও মহাখালী ডিওএইচএস এর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটা থেকে শান্তিনগরের বাসাটিতে অভিযান শুরু করেছে র্যাব-৩। আর মহাখালীর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব-২।
এর আগে দুপুর দেড়টায় সম্রাটের কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে র্যাব যা এখনও চলমান রয়েছে।
শান্তিনগরের বাসায় অভিযানের বিষয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, বেলা আড়াইটা থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। তল্লাশি চলছে।
র্যাব সদস্যরা জানান, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে অভিযান চলছে।
এদিকে মহাখালীর বাসায় অভিযান চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, রবিবার (৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালালেও ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বলেনি র্যাব। তবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সম্রাটসহ কয়েকজন যুবলীগ নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর চার দিনের মাথায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই অভিযানের সময় যুবলীগের কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হলে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধেও অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ ওঠে। ক্যাসিনোবিরোধী ওই অভিযানের প্রথম দিন থেকেই সম্রাট কয়েকশ’ নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলে তার নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নেন। পরে তার অবস্থান ও আটক নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এরই মধ্যে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তলব করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর তার বিদেশ গমনে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। সম্রাট গোপনে তার গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে যান। তবে তিনি র্যাবের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের পর আজ রবিবার বিকালে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
Leave a Reply