যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র মামলায় মোট ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সম্রাটকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজত খানায় এনে রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিনএ তথ্য জানান।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী জামিন বাতিল চেয়ে রিমান্ড দাবি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পৃথক দুই মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৭ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। একই দিনে মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন একই থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা। ওই দিন (৭ অক্টোবর) সন্ধায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানির জন্য ৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
কিন্তু ৯ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে বিচারক শুনানির জন্য আজ সোমবার (১৫ অক্টোবর) এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর (সোমবার) সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে— মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল ও পল্টনসহ রাজধানীতে ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সম্রাটের। সবার কাছে সে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি, দলীয় পদের অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো তার ক্যাডাররা। সম্রাটের কার্যালয় থেকে র্যাব অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ নির্যাতন করার জন্য ইলেকট্রিক শকড দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply