ছোট-বড় বেড়ি বাঁধ দিয়ে ও নেট পাটা ফেলে সাতক্ষীরার নদ-নদী ও খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এক শ্রেণির মানুষ মাছ চাষ করছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তা অপসারণের দাবি জানিয়েছে তীরবর্তী বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেছেন, পানি সরানোর পথ উন্মুক্ত না করা হলে জনগণ বৈধ-অবৈধ সব ধরনের বেড়িবাঁধ কেটে দিতে বাধ্য হবে। এতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে জনগণ তার দায় নেবেনা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতায় ‘নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরা’ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এমনিতেই পলি জমে শালিখা ও বেতনাসহ অন্যান্য নদীর তলদেশ উঁচুু হয়ে পড়ায় পানি ধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। সংলগ্ন স্লুইস গেটগুলি অকেজো হয়ে পড়েছে। তার ওপর পানির স্বাভাবিক গতিতে বাধা দিয়ে খালে ও নদীতে ছোট বড় বেড়ি বাঁধ তৈরি করে অপরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি কোনো আধারে প্রবেশ করতে না পেরে বিলখাল উপচে জনপদে ছাপিয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরার বহু গ্রাম ও বিল ডুবে থাকায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছেদ পড়েছে। একই সাথে নষ্ট হয়ে গেছে মাঠের ধান ফসল। অভিযোগ করে তারা বলেন বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ডেঙ্গুর যে প্রাদুর্ভাব তার অন্যতম উৎস জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা দুর করতে না পারলে বসত বাড়ি ব্যবহার ও রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে নাগরিক নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলা প্রশাসক অবিলম্বে নেটপাটা অপসারণ করে এবং অবৈধ বেড়ি বাঁধ কেটে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে । তারা ফসল খোয়ানোর যন্ত্রণায় ভুগছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুধাংশু শেখর সরকার, অধ্যাপক ইদ্রিস আলি, অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন ইকবাল লোদি, অজিত কুমার রাজবংশী, নির্মল কুমার রায়, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম প্রমুখ।
Leave a Reply