সাতক্ষীরার মাধবকাটি বাজার সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, খুন জখমের হুমকি ও মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদর উপজেলার মাধবকাটি বাজার এলাকার ইলাহি বক্স সরদারের স্ত্রী তানজিলা খাতুন।
তিনি বলেন, বিগত ১৯৮৯ সালে মাধবকাটি মৌজায় সাবেক ৪৪২ দাগে ২৫ শতক জমি ক্রয় করি। এর মধ্যে কিছু সম্পত্তি বিক্রয় করি। আর বাকী ১১ শতক সম্পত্তিতে শান্তি পূর্ণভাবে গাছপালা লাগিয়ে, বসতঘর, দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিলাম।
কিন্তু তার প্রায় ১০বছর পর ওয়াজিয়ারের কন্যা হাসিনা এবং জামাতা ইনছাফ আলী মোড়ল তার শ্বশুরের কাছ থেকে একই দাগে ৩ শতক সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে দানপত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে দাবি করে আমাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তি থেকে ৩ শতক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তার দাবিকৃত ১২৭ খতিয়ানের জমি পাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ওই নামে কোন খতিয়ান নেই। এরই জেরে তারা বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একাধিকবার ঝাউডাঙ্গা, সদর থানাসহ বিভিন্ন স্থানে শালিশী বৈঠক হলেও সেখানে উল্লেখিত হাসিনা এবং তার স্বামী কোন বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি।
উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বিগত ২০১০ সালের সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারি জজ আদালত মামলা হলে তাদের ওই জমিতে প্রবেশে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরও উল্লেখিত হাসিনা ও তার স্বামী কৌশলে আমাদের দখলীয় সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আমাদের একমাত্র পুত্র দেশের বাইরে থাকায় আমার অবিবাহিত কন্যা ময়নাসহ ৩জনকে নিয়ে বাড়িতে আমরা বসবাস করি। অন্যদিকে হাছিনাদের ৪টি পুত্র সন্তান বাড়িতে থাকায় তারা প্রায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে ১০টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ইতোমধ্যে ১০টি মামলার প্রতিটি রায়ই আমাদের পক্ষে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী ও আমি গুরুতর অসুস্থ। ভারত থেকে তাকে ফেরত পাঠিয়েছে আমার স্বামীকে। গত ২৯/৮/১৯ তারিখে ইনছাফ আলী ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুনসহ ৮/১০ জন আমাদের সম্পত্তি থেকে গাছ কাটতে গেলে এতে আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের মারপিট করতে উদ্যাত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাদের ভিটেবাড়ি ও দোকানপাট থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের হুমকি ধামকি প্রদান করে।
এর জেরে গত ৮/৯/২০১৯ তারিখে আবারো ইনছাফ আলীসহ ১০/১৫ জন বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে মারপিট করে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। অথচ ওই ঘটনায় উল্টো আমার স্বামী, আমাকে, কন্যা ময়না, সদ্য বিদেশ ফেরত জামাতা শেখ শাহাজান ও মাধবকাটি বাজার কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে একটি কাল্পনিক সংবাদ সম্মেলন করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এমতাবস্থায় তিনি উক্ত অবৈধদখল দারদের কবল থেকে তাদের সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply