সাতক্ষীরায় নিখোঁজের এক দিন পর তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র চাঞ্চল্যকর হৃদয় মন্ডল হত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করা দুই শিশুকে সমাজসেবার প্রবেশন অফিসার, তাদের আইনজীবী ও অভিভাবকের জিম্মায় দিয়েছে আদালত। তবে এই মামলায় গ্রেফতারকৃত শিশুর মা সাফিয়া খাতুনকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, ওই দুই শিশুসহ একশিশুর মা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সদর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের বিজয় মন্ডলের ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হৃদয় মন্ডল (৯) এর সাথে একটি খেলনা নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সৌমিক মন্ডল (১০) ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মাসুদ রানার (১১) গোলযোগ হয়। এরই জের ধরে হৃদয় মন্ডলকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে সৌমিক মন্ডল ও মাসুদ রানা স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন।
রবিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে দুই শিশু সৌমিক মন্ডল ও মাসুদ রানা এবং মাসুদ রানার মা সাফিয়া খাতুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর শিশু আদালতে তাদের হাজির করা হলে বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান শিশু আইনে দোষ স্বীকার করা শিশু দুইটিকে সমাজসেবার প্রবেশন অফিসার ও তাদের আইনজীবীসহ তাদের অভিভাবকের জিম্মায় প্রেরণের আদেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার নিখোঁজের একদিন পর সদর উপজেলার ঝিটকা গ্রামে বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেত থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হৃদয় মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন, তার ছেলে মাসুদ রানা, সৌমিক মন্ডলসহ ৫ জনকে আটক করে। ওইরাতে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দুই শিশু হত্যাকাণ্ডের কথা অকপটে স্বীকার করে। তবে শিশু মাসুদ রানার মা সাফিয়া খাতুন ঘটনার পরদিন ছেলের কাছে জেনেও প্রথমে পুলিশকে জানায়নি বলে তাকে তথ্য গোপনের অভিযোগে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হৃদয় মন্ডলকে তুচ্ছ একটি খেলনা নিয়ে গোলযোগের জের ধরে হত্যার কথা স্বীকার করে শিশু দুটি। তবে বয়স কম থাকায় তাদের শিশু আইনে আদালতে প্রেরন করা হয়। আর মাসুদ রানার মা ঘটনাটি তার ছেলের কাছে জেনেও প্রথমে পুলিশকে জানায়নি বলে তাকে তথ্য গোপনের অভিযোগে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চালান দেয়া হয়।
Leave a Reply