শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

সাতক্ষীরায় ক্লিনিক কর্মচারীকে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেফতার

আসাদুজ্জামান
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ৬১২
ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেফতার

ক্লিনিকের রিসিপশন বিভাগের এক মেয়েকে কোমলপানীর মধ্যে চেতনাাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধর্ষিতা ওই মেয়ে বাদি হয়ে ধর্ষক রিয়াজুলসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াজুল ইসলাম (২৫) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দিপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক।

এ মামলার অপর দুই পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান মিঠুন(৩৬)।

এদিকে, ধর্ষিতা ওই মেয়ে (১৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। মেয়েটি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারী মেয়েটি শহরের পলাশপোল এলাকার শিমুল মেমোরিয়াল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে রিসিপশন বিভাগে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে চিকিৎসক রিয়াজুল তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভনসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জেরে গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ক্লিনিকের ৫ তলায় ২ নং আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহযোগিতায় চিকিৎসক রিয়াজুল তাকে কোমলপানীয় কোকোকোলার মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ঘটনাটি ক্লিনিক মালিক ৩ নং আসামী মিজানুর রহমান মিঠুনকে জানানোর পর তিনি বিষয়টি সমঝোতা করবেন বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে শুক্রবার রাতে মেয়েটি ধর্ষক ইন্টার্ন চিকিৎসক রিয়াজুলসহ উক্ত তিন জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে গ্রেফতাকৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, এ মামলার অপর দুই পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT