রাতের আন্ধকারে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির পুরাতন বারের লাইব্রেরী, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ আইন ও ধার্মীয় গ্রন্থ অবমাননার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আইনজীবীরা। জেলা আইনজীবি সমিতির আয়োজনে বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে আইনজীবি সমিতির হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড. এম. শাহ আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতি একটি ঐহিত্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এই সমিতির ৫ শতাধিক বিজ্ঞ সদস্য জেলার ২২ লক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছুদিন যাবৎ আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ভবনের জায়গা নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাতনামা লোকজন অবৈধভাবে পুরাতন বারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। একইভাবে গত ২১ আগষ্ট ২০১৯ তারিখ গভীররাতে আবারো অজ্ঞাতনামা লোকজন পুরাতন বারের লাইব্রেরীর তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারীর গ্লাস ভাংচুর করে সেখানে রাখা মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন এবং হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ গীতা, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন সম্বলিত বহু বই পুস্তক এবং বাংলাদেশ সংবিধান তছনছ করে এবং সেগুন কাঠের তৈরী শত বছরের পুরাতন চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা মনে করি ১৪৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী বার শুধু আইনজীবীদের সেকেন্ড হোম নয় এটি সাতক্ষীরার আপামর জনসাধারণের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে আইনের শাসনের ওপর আঘাত, জনগণের ওপর আঘাত সর্বোপরি সারাদেশের আইনজীবীদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত। আমরা এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজহার দায়ের করেছি।
শাহ আলম বলেন, উক্ত বার ভবনের সম্পত্তি নিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ বিভাগের সাথে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া, হাইকোট ডিভিশনে একটি রিটও করা হয়েছে। যাাতে বিবাদি পক্ষের প্রতি নিষেধাজ্ঞা (ষ্টে) আদেশ বহাল রয়েছে।
তিনি এ সময় পুরাতন এই বারের সম্পত্তি রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং ভাংচুরের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমিতিরি সাবেক সভাপতি এড. আবুল হোসেন, এড, ওসমান গণি, প্রবীণ আইনজীবি একেএম শহিদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. ইউনুস আলী, সাবেক পিপি এড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, এড. আকবার আলী, এড. লাকী ইয়াসমিন প্রমুখ।
Leave a Reply