সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনি ও কোলা-ঘোলা সড়কটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অধিকাংশ স্থানের অবস্থান একেবারেই নাজুক। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির প্রতিমধ্যে খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা শহর থেকে আশাশুনির কোলা ঘোলা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটারের সড়কের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মধ্যে ৬ কিলোমিটার ও আশাশুনি উপজেলায় ৩৬ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানের পিচ-পাথর উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ সকল গর্তে বৃষ্টি পানি জমে থাকায় সড়কে চলাচলরত যানবাহনের চাকা উক্ত নোংরা পানি পথচারীদের পোশাক ও সড়কের পার্শবর্তী দোকানীদের মালামাল নষ্ট করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে ছোট-বড় ও মাঝারী ধরণের যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ে যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার না হওয়ার কারণে সড়কে চলাচলরত যানবাহনের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় একদিকে যেমন আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাস মালিকরা অন্যদিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্বক ভাবে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার ঘটনাও কম নয়।
এ গুরুত্বর্পণ সড়কটি আশাশুনি, তালা, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার সাধারণ মানুষ সাতক্ষীরা জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
এছাড়া স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত যাত্রীদের। রোডর্স এন্ড হাইওয়ে অফিস সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা টু চাপড়া বাসস্টান্ড পর্যন্ত ৪৪কোটি টাকা এবং আশাশুনি থেকে কোলা ঘোলা পর্যন্ত সড়কের পূর্ণ সংস্কারের জন্য ৩৩কোটি টাকা বাজেট পরবর্তী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। তবে কাজের অগ্রগতিতে বিড়ম্বনার বিষয়ে কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি রোডর্স এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারপূর্বক জনগণের যানমালের নিরাপত্তা ও ভোগান্তি নিরসনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ সড়কের চলাচলরত যাত্রী সাধারণ।
Leave a Reply