গুম কমিশন ও নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্ত অনুযায়ী সারাদেশে আয়নাঘরের সংখ্যা কয়েক শ’। যা ৭০০-৮০০ হবে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ঢাকার বিশিষ্ট আয়নাঘরগুলো পরির্দশন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে, প্রত্যেকটা খুঁজে বের করা হবে। আরও বের হচ্ছে। এটা শুধু ঢাকায় ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এরকম অনেক আয়নাঘর ছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় ছয়জন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের প্রধানসহ পাঁচজন, পতিত শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরে গুমের শিকার হওয়া আটজন নিয়ে বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। র্যাবের দুটি ও ডিজিএফআইর একটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তারা।
তিনি বলেন, সেখানে কীভাবে রাখা হতো, কীভাবে নির্যাতন করা হতো এবং কীভাবে দিনগুলো কাটিয়েছেন, সেই বর্ণনা দিয়েছেন গুমের শিকার ব্যক্তিরা। কেউ কেউ আছেন ৮-৯ বছর (আযমী ও ব্যারিস্টার আরমান) সেখানে ছিলেন, ‘তাদের বর্ণনা শোনা যায় না’, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আয়নাঘর পরিদর্শনে সেগুলো প্রকাশ পেয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশন, আল জাজিরা ও নেত্র নিউজের সাংবাদিকরা ছিলেন।
সবাইকে আয়নাঘর পরিদর্শনে নিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি স্থান ও ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। তিনি বক্তৃতায় বলেছেন, যা দেখেছেন তা বর্ণনা করার মতো নয়, অবর্ণনীয়। এটা বীভৎস দৃশ্য, সেটি মনুষ্যত্ববোধ থেকে বহু দূরের। আমাদের সবার অপরাধ যে, এটা আমরা হতে দিয়েছি। গুম কমিশনের রিপোর্ট জাতির জন্য একটা বড় ডকুমেন্ট, এটা পাঠ্য হিসেবে সবাইকে পড়তে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। তা নাহলে আমরা নিষ্কৃতি পাবো না।
Leave a Reply