সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশনের মীরগাং টহল ফাঁড়ির অন্তর্ভুক্ত এলাকা দিয়ে অবাধে পাচার হচ্ছে সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ। অথচ মীরগাং টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহাসিন এর প্রতিরোধ না করে টাকার বিনিময়ে কাঠ পাচারে সহযোগীতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে জেলে বাওয়ালীদের অভিযোগ, সহকারি পাস থাকা শর্তেও কাঁকড়া ধরা জেলেকে নৌকা প্রতি ৫ থেকে ৭শত এবং সাদা মাছ ধরা জেলেদের নৌকা প্রতি ১৫শ টাকা ঘুষ দিতে হয় মীরগাং টহলফাঁড়ির ওসি মহাসিন কে।
তাদের অভিযোগ ফাঁড়িটি ঘুষের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন ওসি মহসিন। ওসি মহাসিন সুন্দরবনকে নিজের বন মনে করেন। তার সাথে কথা না বলে কোন জেলে-বাওয়ালীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করলে এবং নির্ধারিত টাকা সময় মত না দিতে পারলে তাদের কে আটকপূর্বক বনমালা দেওয়া হয়।
এদিকে জেলেদের অভিযোগ ওসি মহসিন অর্থের বিনিময়ে জেলেদের সরকারি পাসের অপর পিঠে একটি গোপন নাম্বার বসিয়ে দেন। যাতে করে ওই নাম্বার দেখে অসাধু জেলেদের অভায়রণ্যে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায়।
এ বিষয়ে কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মোবারকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সবে মাত্র স্টেশনে আসছি তবে আমার অধীনে যত সদস্য আছে তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি যে কোন প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি চলবে না। এবং আমি নিজে মাঝে মাঝে অভিযানে যাচ্ছি।
Leave a Reply