শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

স্কুল খোলা নিয়ে যা বললেন সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২২৮
স্কুল খোলা নিয়ে যা বললেন সচিব

যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং সরকার যদি মনে করে যে বাচ্চারা এখন নিরাপদ, তারা স্কুলে গেলে কোনো সমস্যা হবে না, তবেই স্কুল খুলবে। কিন্তু স্কুল খোলা সম্ভব না হলে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীতের জন্য সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনদ দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ বছর স্কুল খোলা সম্ভব না হলে অটো পাস দেয়া হতে পারে-এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সেটা সময় বলে দেবে। আমরা যদি স্কুল না খুলি তাহলেও তো বাচ্চাদের পরবর্তী ধাপে (ক্লাসে) দিতে হবে। আমি সব সময় বলি, এক ক্লাস না পড়ে আরেক ক্লাসে উঠেছি। ১৯৭১ সালে আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি, ৭ মার্চের পর যখন স্কুল বন্ধ হয়ে গেল তারপর ’৭২ সালের জানুয়ারিতে সিক্স থেকে সেভেনে তুলে দেয়া হলো। আমার তো কমপিটিন্সিতে কোনো সমস্যা হয়নি।

আগামী ১৯ ডিসেম্বরের পর স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে- এ বিষয়ে সচিব বলেন, সেটা বলেছি অন্যভাবে। বলেছি যে, এখনও আমাদের সংশোধিত ও অনুমোদিত দুটি লেসন প্ল্যান আছে।

‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং সরকার যদি মনে করে যে বাচ্চারা এখন নিরাপদ, তারা স্কুলে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। সেই অবস্থা হলে আমরা স্কুল খোলার যদি সুযোগ পাই তাহলে আমাদের অনুমোদিত দুটি লেসন প্ল্যান আছে, অক্টোবর এবং নভেম্বর। সেটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের লিমিট শেষ করার তারিখ ২০ ডিসেম্বর। একটা ৫২ দিন আরেকটা ৪০ দিন। যদি অক্টোবরে খুলতে পারি তাহলে এক রকম হবে, যদি অক্টোবরে খুলতে না পারি যদি নভেম্বরে খুলতে পারি তাহলে ৪০ দিন পাবো।’

সচিব বলেন, ইতিমধ্যে মার্চের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পাঠ পরিকল্পনার আমরা ৩৫ শতাংশ শেষ করেছি। সারাদেশে এখন একই পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়। ঢাকা শহরে একটা স্কুলে যে পৃষ্ঠা পড়ানো হয়, সেটা পঞ্চগড় বা মাগুরা বা দিনাজপুর বা কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলেও একই পাঠ দেয়া হয়।

‘যদি স্কুল খোলা সম্ভব হয়, আমাদের সংশোধিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে হয়তো ২০ ডিসেম্বরের পরে শিক্ষকরা নিজ নিজ স্কুলে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করতে পারবেন, পরীক্ষার কথা বলিনি। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেবে। যদি স্কুল খুলতে না পারি তাহলে… (অটো পাস)।’

প্রাথমিক সমাপনীর ক্ষেত্রে মূল্যায়ন কী হবে- প্রশ্নে সচিব বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা কিন্তু হয়নি বা হবে না।

সমাপনী পরীক্ষা না হলে সনদে গ্রেডিংয়ের কী হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, পরীক্ষা না হলে গ্রেডিং কোনো বিষয় নয়। তাকে পরবর্তী ক্লাসে অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য তার স্কুলের হেডমাস্টার একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT