শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

স্বৈরাচার কখনো দয়া করে না তাদেরকে বাধ্য করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১১১
স্বৈরাচার কখনো দয়া করে না তাদেরকে বাধ্য করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজকে আমাদের একটা মাত্র পথ হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। বিএনপি যেহেতু বড় দল তাই তাদেরকে উাদার হতে হবে। অন্যান্য যারা আছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। সরকারকে অগ্রাহ্য করে জনগণের কাছে যেতে হবে। তা না হলে কোন লাভ নাই। একটা স্বৈরাচার কখনো দয়া করে না তাদেরকে বাধ্য করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ -ভারত সম্পর্ক ও আমাদের জাতীয় স্বার্থ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য সহোযোগিতা করেছেন। কিন্তু তারা আমাদেরকে দয়া করেন নাই, তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ভারত রক্ষার জন্য পঁচিশ বছর তাদের যেই ব্যয় হতো, বাংলাদেশ রক্ষার ফলে তারা এক বছরে তা উঠিয়ে নিয়েছেন। তারা আমাদেরকে কী দিয়েছে? আমাদের গণতন্ত্রকে হ’ত্যা করেছে, আমাদের মিথ্যাচারে রহিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা কথায় কথায় বলে থাকি ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দান করেছে, কিন্তু তার হিসাবটা পাওয়া যায় না। আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান যারা পৃথিবীর সকল দেশের খোঁজ রাখেন, তারা বলেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল এটা সঠিক কথা। তারা বিপদে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখানে তৎকালীন হিসাব অনুযায়ী ভারতের ক্যাম্পে সাত লাখ বাংলাদেশি লোক মারা গেছে। কিন্তু তারা কখনোই আমাদের সেই নামগুলো হস্তান্তর করেন নি। মারা গেছে তার চেয়ে অনেক বেশি, ভারতের মাটিতেই মারা গেছে প্রায় বিশ লাখ লোক। বেশির ভাগ মারা গেছেন শিশু বৃদ্ধ। আর বাংলাদেশের মাটিতে মারা গেছে ২ লক্ষ ৬৯ হাজার। এটা কিন্তু বিএনপির হিসাব নয়, এটা বঙ্গবন্ধুর আমলের হিসাব।

মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন আমরা তাদেরকে স্বরণ করি না। আমরা এক ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ দেশে পরিণত করেছি। ইতিহাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষ নাম হয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটা মানুষের নাম বইতে আসা উচিত।

সংগঠনের সভাপতি কে এম রাকিবুল ইসলাম রিপুর সসভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) সরওয়ার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, বিএনপি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT