শিরোনাম :
রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি কিছুই না: তামিম ইকবাল

হত্যার আগের দিন আবরারকে নির্যাতনের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২১৮

হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) আবরার ফাহাদকে মেরে শেরেবাংলা হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। শেরেবাংলা হলের ১৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

বুয়েট ও শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈরি ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপে ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘এসবিএইচএসএল ১৫+১৬’ নামে ওই গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আবরারকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গ্রুপটি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেরেবাংলা হলের ১৫ ও ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতো বলে জানা গেছে।

ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথোপকথন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মেহেদী হাসান রবিন লেখে, ‘১৭-এর আবরার ফাহাদ; মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত @১৬; এর আগেও বলছিলাম; তোদের তো দেখি কোনও বিগারই নাই; শিবির চেক দিতে বলছিলাম; দুই দিন সময় দিলাম।’

রবিন মেসেঞ্জার গ্রুপে আরও লেখে, ‘দরকারে ১৬ ব্যাচের মনিরের সঙ্গে কথা বলিস। ও আরও কিছু ইনফো দিবে শিবির ইনভলমেন্টের ব্যাপারে।’

‘ওকে ভাই’ জবাব দেয় ১৬তম ব্যাচের মনিরুজ্জামান মনির।

রবিনের নির্দেশ পাওয়ার পরদিন রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে মনির গ্রুপে লেখে, ‘নিচে নাম সবাই’।

এরপরই রাত ৮টা ১৩ মিনিটে আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় তানিম, বিল্লাহ, অভি, সাইফুল, রবিন, জিওন ও অনিক। যা শেরেবাংলা হলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।
এরপর রাত ১২টা ৩৮ মিনিটে ‘এসবিএইচএসএল ১৬+১৭’ গ্রুপে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা লেখে, ‘আবরার ফাহাদ কি হলে আছে’ জবাবে শামসুল ও সজীব জানায়, ‘২০১১-তে আছে।’ জানা গেছে ২০১১ নম্বর কক্ষে অমিত সাহা থাকে।

মেসেঞ্জারে অন্য আরেকটি কথোকথন পাওয়া গেছে, যা ছিল অমিত সাহা ও ইফতি মোশাররফ সকালের মধ্যে। এতে অমিত সাহা লিখেছে, ‘আবরার ফাহাদরে ধরছিলি তরা?’। ইফতি জবাব দেয়, ‘হ’। আবার প্রশ্ন করে অমিত, ‘বের করছোস?’ জবাবে ইফতি পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘কি হল থেকে নাকি স্বীকারোক্তি’ এবার অমিত লেখে, ‘স্বীকার করলে তো বের করা উচিত।’

এরপর ইফতি জবাব দেয়, ‘মরে যাচ্ছে; মাইর বেশি হয়ে গেছে’। জবাবে অমিত সাহা লেখে, ‘ওওও বাট তাকে তো লিগ্যালি বের করা যায়’। এরপর একটি ইমোজি পাঠায় ইফতি। পরে এই দুজনের আর কোনও কথোকথন পাওয়া যায়নি।

ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে এই কথোপকথন প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছি। কথোপকথনের বিষয়টিও যাচাইবাছাই চলছে।’

গত রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে আবরারকে হত্যার পরদিন সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি দক্ষিণ বিভাগ। এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবির কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT