হৃদরোগের জন্য একটি উপকারী উপাদান অলিভ অয়েল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে এক লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করে এমনটা জানিয়েছেন। বিশেষত, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শরীরের জন্য অনেক বেশি ভালো। এতে থাকা ওলিক অ্যাসিড নামক ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ হ্রাস করে।
গবেষণার শীর্ষস্থানীয় লেখক ডা. মার্তা গুয়াশ ফেয়ার বলেন, এর আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে যে, অলিভ অয়েল ব্যবহারে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা যায়। বিশেষত ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে যেখানে আমেরিকার তুলনায় অলিভ অয়েলে পরিমাণ অনেক বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অলিভ অয়েল হৃদরোগের জন্য উপকারী কি না সে বিষয়ে জানাই আমাদের লক্ষ্য।’
বোস্টনের হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথে এই গবেষণাটি করা হয়। গবেষণায় সময় ছিল ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এর মধ্যে নার্সদের হেলথ স্টাডি থেকে ৬৩,৮৬৭ জন নারী এবং হেলথ প্রফেশনালদের ফলোআপ স্টাডি থেকে ৩৫,৫১২ জন পুরুষ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণার শুরুর দিকে সমস্ত অংশগ্রহণকারী হৃদরোগ, ক্যানসার ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগমুক্ত ছিল। প্রায় তিন দশক ধরে প্রতি চার বছরে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের ডায়েট ও জীবনধারা সম্পর্কে প্রশ্নাবলীর উত্তর দেন।
এই ব্যক্তিদের ডায়েট ও লাইফস্টাইলের বিষয়গুলো হিসাব করে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যে বা যারা প্রতিদিন আধা চামচের বেশি অলিভ অয়েল খেয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনোরকম কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কম ছিল। তাদের করোনারি হার্ট ডিজিজের ২১ শতাংশ কম ঝুঁকি ছিল।
গবেষকরা আরও জানতে পারেন যে, এক চামচ মাখন, মার্জারিন, মেয়োনেজ বা দুগ্ধযুক্ত ফ্যাট একই পরিমাণে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।
অলিভ অয়েল রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও বয়সজনিত রোগের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো হ্রাস করে। পাশাপাশি, এটি মস্তিষ্কের কাজকেও উন্নত করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply