বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যা নজর এড়ায়নি তালাবাসীর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকের।
আর এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তার ওই স্ট্যাটাসটিতে আড়াই শতাধিক ফেইসবুক ব্যবহারকারী নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছেন। তারা সবাই তার এ উদ্যোগের প্রশংসা জানিয়ে শুভকামনা করেছেন। তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেওয়া হৃদয়গ্রাহী স্ট্যটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল:
নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এসি রুমের মধ্যে থাকতে ভালো লাগছেনা। ফ্যাক্ট: হাসপাতালে অপারেশনের রোগী গরমের সাথে লড়ছে। রাতের তালা আমাকে বদলে দাও। কাল থেকে নিজের রুমের এসি বন্ধ থাকবে। রোগীদের ব্যবস্থা না করে ব্যবহার করবোনা। দয়া করে রুমে ঢুকে কেউ এ সি চালাতে বলবেন না। হাসপাতালের এসি হতেই হবে। এসি হবেই। কোনও ধূলো থাকবেনা। জুতো বাইরে থাকবে। আর বাথরুম থেকে গন্ধ নয় ঘ্রান আসুক।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ইউএনও’র এমন মানবিক আকূতিময় আবেদন নাড়া দিয়েছে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের। ফেইসবুকে বইছে লাইক, কমেন্ট আর রিয়েক্ট এর ঝড়, বিষয়টি ফেসবুকের সীমাণা ছাড়িয়ে ঝড় তুলেছে চায়ের কাপেও।
কেউ-কেউ বলছেন, এমন ইউএনও বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রয়োজন। কেউবা বলছেন, বাংলাদেশের সকল ইউএনও কে এমন হতে হবে। অনেকের মন্তব্য, ইউএনও ইকবাল হোসেন’র আগমনে রাতারাতি বদলে যাওয়া তালার এমন চিত্রে তিনি বাহ্বা পেতেই পারেন।
তবে ৩১ জুলাই তার তালায় যোগদানের পর দু’ মাস পার হতে না হতেই দীর্ঘ দিনের নানা অনিয়ম-অসংগতির পট পরিবর্তন হয়েছে। যা তালার সুন্দর আগামীর পাথেও হয়ে থাকবে। বিশেষ করে সরকারি জলমহলের নেট-পাটায় বন্দি উপজেলাবাসীকে মুক্তির পথ দেখিয়ে রীতিমত দৃষ্টান্ত তৈরী করেছেন তিনি। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন কোনটা নিয়ম আর কোনটা অনিয়ম। ডেঙ্গুর আগ্রাসণের সময়ে পাল্টে গেছে চিরচেনা আবর্জনাময় গোটা উপজেলার চিত্র।
এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা করা হলে তিনি বলেন, আমি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। যেখানে সাধারণ মানুষ ভালো থাকতে পারেনা সেখানে আমার ভাল থাকাটাও বেমানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ্য অপারেশনের রোগীরা যে কষ্ট ভোগ করছেন সেটা সকলেরই জানা, তাই আমি রোগীরদের ন্যুনতম স্বস্থি না দিয়ে নিজেও গরমের স্বস্থি নিব না বলে মনকেও সাফ জানিয়ে দিয়েছি। সেটা অন্তত আমার পক্ষে সম্ভবও না।
Leave a Reply