আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর এক হাজার ২শ’ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। তার স্ত্রী-পুত্র মিলে আওয়ামী লীগের ৩৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন। তখন মির্জা ফখরুলের চোখে পানি আসেনি।’
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যুৎ, কৃষি, বৈদেশিক রফতানি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা ফখরুল সাহেবের চোখে পড়ে না। তার চোখে ছানি পড়েছে, নতুবা তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ বহু স্বীকৃতি পেয়েছে। শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন।’
আবরার হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশ, যেকোনও অপকর্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধীকে কোনও ছাড় নেই। আবরারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ক্যাসিনো ব্যবসা বিএনপির সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের গায়ে কলঙ্ক লাগানো হচ্ছে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়ে ক্যাসিনো শুরু করেছিলেন। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী লোকমান, শামীম বিএনপি থেকে আসা। শামীম কাদের মাসোহারা দিতো তার ডায়েরিতে লেখা আছে। সেখানে বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের নামও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী সংগঠন। আন্দোলন কীভাবে করতে হয় এবং কীভাবে প্রতিহত করতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ কর্মী যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।’
Leave a Reply