শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

২০০ রুপির অভাবে জীবনের মোড় ঘুরেছিল ইরফান খানের!

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২২৭
২০০ রুপির অভাবে জীবনের মোড় ঘুরেছিল ইরফান খানের!

ভারতীয় সিনেমার সেরা অভিনেতাদের একজন। প্রায় তিন যুগের ক্যারিয়ারে এমন সব সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অভিনয়ের এমন জগত সৃষ্টি করেছেন, যা অন্য অনেকের জন্যই অনুকরণীয়। তিনি ইরফান খান।

সিনে দুনিয়ায় অসামান্য খ্যাতি পাওয়া এই তারকা ছোটবেলায় হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। বেশ ভালো খেলতেনও। কিন্তু অল্প কিছু টাকার জন্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার হাতছাড়া হয়ে যায় তার। সেই ঘটনা ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ইরফান।

সেটার সূত্র ধরে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ক্রিকেট মাঠে অলরাউন্ডার ছিলেন ইরফান। তবে বোলিং ছিল তার অধিক প্রিয়। দলের অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্টও তার বোলিংয়ের ভক্ত ছিল। প্রতি ম্যাচে গড়ে ২-৩ উইকেট তার ঝুলিতে আসতো। এমন প্রতিভার জোরে ইরফান সুযোগ পান কর্নেল সিকে নায়ডু ট্রফিতে। কিন্তু পরিবার খেলাধুলায় মোটেও রাজি ছিল না। তাই লুকিয়ে খেলতে যেতেন ইরফান। বাড়িতে ফিরে দিতেন নানা অজুহাত।

সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমি যখন সুযোগ পাই তখন আমাদের জয়পুর থেকে আজমেঢ় যেতে হতো। সেজন্য ২০০-২৫০ রুপি লাগতো। আমি সেই টাকাটা জোগাড় করতে পারিনি। সে দিনই বুঝে গিয়েছিলাম, এটা আমার জন্য নয়।’

 

ভারতীয় সিনেমার সেরা অভিনেতাদের একজন। প্রায় তিন যুগের ক্যারিয়ারে এমন সব সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অভিনয়ের এম জগত সৃষ্টি করেছেন, যা অন্য অনেকের জন্যই অনুকরণীয়। তিনি ইরফান খান। সিনে দুনিয়ায় অসামান্য খ্যাতি পাওয়া এই তারকা ছোটবেলায় হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। বেশ ভালো খেলতেনও। কিন্তু অল্প কিছু টাকার জন্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার হাতছাড়া হয়ে যায় তার। সেই ঘটনা ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ইরফান। সেটার সূত্র ধরে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ক্রিকেট মাঠে অলরাউন্ডার ছিলেন ইরফান। তবে বোলিং ছিল তার অধিক প্রিয়। দলের অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্টও তার বোলিংয়ের ভক্ত ছিল। প্রতি ম্যাচে গড়ে ২-৩ উইকেট তার ঝুলিতে আসতো। এমন প্রতিভার জোরে ইরফান সুযোগ পান কর্নেল সিকে নায়ডু ট্রফিতে। কিন্তু পরিবার খেলাধুলায় মোটেও রাজি ছিল না। তাই লুকিয়ে খেলতে যেতেন ইরফান। বাড়িতে ফিরে দিতেন নানা অজুহাত। সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমি যখন সুযোগ পাই তখন আমাদের জয়পুর থেকে আজমেঢ় যেতে হতো। সেজন্য ২০০-২৫০ রুপি লাগতো। আমি সেই টাকাটা জোগাড় করতে পারিনি। সে দিনই বুঝে গিয়েছিলাম, এটা আমার জন্য নয়।’ irrfan khan inবিভিন্ন চরিত্রে ইরফান খান এই সামান্য টাকার অভাবই ঘুরিয়ে দিয়েছিল ইরফান খানের জীবন। তার এক আত্মীয় কাজ করতেন যোধপুরের থিয়েটারে। তাকে দেখেই অভিনয়ে আগ্রহ জাগে ইরফানের। তিনিও যোগ দেন থিয়েটারে। স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু নাটকে অভনয়ও করেন। এরপর ১৯৮৪ সালে তিনি দিল্লি গিয়ে ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-য় (এনএসডি)। অভিনয়ের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেন, আর ওমনি কাজ পেয়ে গেলেন, এমন ছিল না মোটেও। সংগ্রামের সেই দিনগুলোতে তিনি এয়ার কন্ডিশনার মেরামতের কাজ করতেন ইরফান। যেটা দিয়ে নিজের খরচ মেটাতেন। এই কাজের সুবাদেই একবার রাজেশ খান্নার বাড়িতে যান ইরফান। আর তাকে দেখেই ইরফানের মনে অভিনেতা হওয়ার আগ্রহ আরও প্রবল হয়ে ওঠে। ১৯৮৭ সালে এনএসডি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একটি ছবিতে ছোট এক চরিত্রে সুযোগ পান ইরফান খান। মিরা নায়ের নির্মিত ছবিটির নাম ‘সালাম বোম্বে’। মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। এরপর এরকম ছোট ছোট চরিত্রে আরও কিছু সিনেমা ও টেলিভিশন সিরিজে কাজ করেছিলেন ইরফান। ২০০৪ সালে এসে ইরফান খান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সুযোগ পান এবং বাজিমাত করেন। বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত ওই ছবির নাম ‘মকবুল’। এর পরের বছরই প্রধান চরিত্রে হাজির হন ইরফান। ‘রোগ’ নামের ছবিটিতে তার অভিনয় মুগ্ধ করেছিল সমালোচকদের। irrfan khan 2ইরফান খান অতঃপর সাফল্য, জনপ্রিয়তা আর পুরস্কার সমান্তরালে আসতে থাকে ইরফানের ঝুলিতে। ক্যারিয়ারে যুক্ত করেছেন ‘পান সিং তোমার’, ‘লাইফ অব পাই’, ‘পিকু’, ‘লাঞ্চবক্স’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘তলোয়ার’, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’, ‘মাদারি’, ‘কারিব কারিব সিঙ্গেল’, ‘আংরেজি মিডিয়াম’র মতো নন্দিত সব সিনেমা। একবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি ফিল্মফেয়ার, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী এবং ফিল্মফেয়ারের আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হঠাৎ ইরফান খানের প্রসঙ্গ অবতারণার কারণ, আজ (২৯ এপ্রিল) তার চলে যাওয়ার দিন। ২০২০ সালের এই দিনে মারা গিয়েছিলেন তিনি। বিষাদময় দিনটিতে তাকে স্মরণ করছে পরিবার, ভক্ত ও সহকর্মীরা।
এই সামান্য টাকার অভাবই ঘুরিয়ে দিয়েছিল ইরফান খানের জীবন। তার এক আত্মীয় কাজ করতেন যোধপুরের থিয়েটারে। তাকে দেখেই অভিনয়ে আগ্রহ জাগে ইরফানের। তিনিও যোগ দেন থিয়েটারে। স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু নাটকে অভনয়ও করেন। এরপর ১৯৮৪ সালে তিনি দিল্লি গিয়ে ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-য় (এনএসডি)।

অভিনয়ের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেন, আর ওমনি কাজ পেয়ে গেলেন, এমন ছিল না মোটেও। সংগ্রামের সেই দিনগুলোতে তিনি এয়ার কন্ডিশনার মেরামতের কাজ করতেন ইরফান। যেটা দিয়ে নিজের খরচ মেটাতেন। এই কাজের সুবাদেই একবার রাজেশ খান্নার বাড়িতে যান ইরফান। আর তাকে দেখেই ইরফানের মনে অভিনেতা হওয়ার আগ্রহ আরও প্রবল হয়ে ওঠে।

 

১৯৮৭ সালে এনএসডি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একটি ছবিতে ছোট এক চরিত্রে সুযোগ পান ইরফান খান। মিরা নায়ের নির্মিত ছবিটির নাম ‘সালাম বোম্বে’। মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। এরপর এরকম ছোট ছোট চরিত্রে আরও কিছু সিনেমা ও টেলিভিশন সিরিজে কাজ করেছিলেন ইরফান।

 

২০০৪ সালে এসে ইরফান খান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সুযোগ পান এবং বাজিমাত করেন। বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত ওই ছবির নাম ‘মকবুল’। এর পরের বছরই প্রধান চরিত্রে হাজির হন ইরফান। ‘রোগ’ নামের ছবিটিতে তার অভিনয় মুগ্ধ করেছিল সমালোচকদের।

২০০ রুপির অভাবে জীবনের মোড় ঘুরেছিল ইরফান খানের!

অতঃপর সাফল্য, জনপ্রিয়তা আর পুরস্কার সমান্তরালে আসতে থাকে ইরফানের ঝুলিতে। ক্যারিয়ারে যুক্ত করেছেন ‘পান সিং তোমার’, ‘লাইফ অব পাই’, ‘পিকু’, ‘লাঞ্চবক্স’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘তলোয়ার’, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’, ‘মাদারি’, ‘কারিব কারিব সিঙ্গেল’, ‘আংরেজি মিডিয়াম’র মতো নন্দিত সব সিনেমা। একবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়টি ফিল্মফেয়ার, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী এবং ফিল্মফেয়ারের আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

হঠাৎ ইরফান খানের প্রসঙ্গ অবতারণার কারণ, আজ (২৯ এপ্রিল) তার চলে যাওয়ার দিন। ২০২০ সালের এই দিনে মারা গিয়েছিলেন তিনি। বিষাদময় দিনটিতে তাকে স্মরণ করছে পরিবার, ভক্ত ও সহকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT