শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

৪০ দিন ক্লাসের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের, না হলে অটোপাস

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৮০
সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ৫০ নম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা!
ফাইল ছবি।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতি বছর অন্তত ৪০ দিন ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, প্রস্তুতি নেয়ার পরও ক্লাস নেয়া সম্ভব না হলে প্রাথমিকের সব শ্রেণিতে অটোপাস বা শিক্ষার্থীদের সরাসরি উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব।

এদিকে, জেএসসি’র পরিবর্তে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব স্কুলে মূল্যায়নের নির্দেশনা দেয়ার পর, অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস-পরীক্ষার ব্যাপারেও চলতি সপ্তাহেই আন্তঃশিক্ষা বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

প্রতিবছর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনার থাবায় এবছর শিক্ষাক্ষেত্রে সব পরিকল্পনা বদলে গেছে। গত মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পর এখনো খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। এরইমধ্যে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

এ অবস্থায় পরিস্থিতি ভালো হলে অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ক্লাস নেয়া ও ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করে গত বৃহস্পতিবার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতিও নিতে স্কুলগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা স্কুল একটা রি-ওপেনিং প্লান তৈরি করবে। মাস্ক অবশ্যই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনো স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যার বেশি হয়; তাহলে অলটারনেটিভ করে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে, চলতি বছর ক্লাস পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে সব শ্রেণিতে অটো পাসের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়; স্কুলগুলো খোলা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। অটোপাস দিতে হবে, কোনো শিক্ষার্থীকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না।

এদিকে, জেএসসি পরীক্ষার পরিবর্তে স্ব স্ব স্কুলে মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে স্কুলগুলোতে। আর অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস ও পরীক্ষার বিষয়ে শিগগিরই আন্তঃবোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ক্লাস পরীক্ষার ব্যাপারে চার-পাঁচদিন পরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জানানো হয়। আর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলে মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে।

এইচএইচসি পরীক্ষার ব্যাপারেও শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আভাসও দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT