বিএনপি কখনও খুনের দায়ে পড়েনি বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উল্টো তিনি দাবি করেন, ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগই খুন শুরু করেছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তথ্যমন্ত্রী দুদিন আগেই বলেছেন, বিএনপি একটি খুনির দল। তিনি ভুলে গেছেন, তারা ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর রক্ষীবাহিনী তৈরি করে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করেছে।’ বিএনপির হাত কারও খুনের রক্তে রঞ্জিত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করেছে, নিপীড়ন করেছে। গণতান্ত্রিক পথ সব রুদ্ধ করে দিয়েছে, তারা গণতান্ত্রিক স্পেস বলতে আর কিছু রাখেনি।’
সরকার সবদিকে ব্যর্থ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। ডেঙ্গু কী আকার ধারণ করেছে! হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে বলে দাবি করেন তিনি।
সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও ব্যর্থ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে সারাদেশে লুটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। যেখানে যাবেন সেখানেই দেখবেন আওয়ামী লীগের লোকজন লুটপাট ছাড়া কিছু করছে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। ১১/১-এ যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বিরাজনীতিকরণের, সেই ধারা এখন চলছে। এই দেশে বিচারব্যবস্থা বলতে কিছু নেই, ন্যায়-নীতি বলতে কিছু নেই বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে তারা। সব প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিয়ে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা তারা করেছে।’ এটা অঘোষিত বাকশাল বলেও দাবি করেন তিনি।
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
Leave a Reply